সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে কথিত এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। সোহেল বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তি তিনি নিজেকে যুবলীগ নেতা দাবি করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মসজিদটি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
কিন্তু তিনি উল্টো এই ঘটনায় পুরো দায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ আরও ব্যক্তি বিশেষের ওপর চাপাচ্ছেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (০৪ মে) সন্ধ্যারাতে শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের গাবতলা নামক এলাকায়।অভিযোগ রয়েছে- বরিশাল মহানগর বা ওয়ার্ড যুবলীগের কোন কমিটিতে সোহেল বিশ্বাসের কোন পদ পদবী না থাকলেও তিনি নিজেকে নেতা দাবি করেন।তবে সাইফুল ইসলাম মসজিদের হামলা বা ভাঙচুরের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে বলছেন এটি ষড়যন্ত্র।
ঘটনা সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন- ওই এলাকার জমি ক্রয় পরবর্তীতে চলাচলের জন্য রাস্তা করেছেন শফিকুল ইসলাম, শামিম, শহীদ ও সাইফুল ইসলাম নামে ৪ ব্যক্তি। এই রাস্তার জমির জন্য তাদেরকে পার্শ্ববর্তী মালিকদের কাছ থেকে জমিও কিনতে হয়েছে।
কিন্তু তাদের সেই জমির পেছনে কমল নামে এক ব্যক্তি সাম্প্রতিকালে জমি কিনেছেন। তবে তিনি চলাচলের জন্য সেখানে সড়কে কোন জমি দেননি বা দিতেও চাইছেন। অথচ তিনি অন্যর জমির ওপর দিয়ে সড়ক নিতে চাইছেন। এতে ওই চার মালিক আপত্তি তোলতে কথিত যুবলীগ নেতা সোহেল বিশ্বাস তার পক্ষে অবস্থান নিয়ে তাদের চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন।
কিন্তু এতেও সম্মত না হওয়ায় কারণে সর্বশেষ শনিবার তাদের গালিগালাজ করেন সোহেল বিশ্বাস। এই ঘটনায় জমি মালিকদের মধ্যে একজন শফিকুল ইসলাম বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহারকে বিষয়টি নালিশ আকারে অবহিত করেন। পরবর্তীতে কাউন্সিলর বিষয়টি ফোন করে জিজ্ঞাসা করলে সোহেল তাকেও গালি দেন। এমনকি লোকজন নিয়ে কাউন্সিলের লোকজনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
এতে স্থানীয় জনতা সংক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ধাওয়া দিলে তিনি লোকজন নিয়ে পার্শ্ববর্তী জিহাদ জামে মসজিদে হামলা করে ভাঙচুর চালিয়েছেন। কিন্তু সোহেল সকলের কাছে উল্টো অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলরের লোকজন মসজিদে হামলা করেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মুসুল্লিদের মাঝে চরম আকারে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার জানিয়েছেন- বিষয়টি তিনি জানতে সোহেল বিশ্বাসকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি কোন এতে কর্ণপাত না করেননি। বরং গালাগালি দিয়েছেন। পরবর্তীতে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে লোকজনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
এতে স্থানীয় লোকজন সংক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। তখন মসজিদটির বেশ কয়েকটি জানালার গøাস ভাঙচুর করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ সাইফুল ইসলাসহ আরও অনেক ব্যক্তি বিশেষকে ফাঁসাতে উল্টো অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে স্থানীয় মুসুল্লিরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান কাউন্সিলর।
জমি মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন- বিষয়টি নিয়ে তিনি আতঙ্কে মধ্যে রয়েছেন। কারণ তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন কথিত যুবলীগ নেতা সোহেল বিশ্বাস। এই ঘটনায় তিনিও থানা পুলিশের আশ্রয় নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সোহেল বিশ্বাস উল্টো অভিযোগ করে বলছেন- কাউন্সিলর লোকজন নিয়ে মসজিদে হামলা করেছেন। এসময় তাকে একাধিক প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমি এখন ভাইয়ের কাছে রয়েছি। সুতরাং কথা বলার কোন সুযোগ নেই। পরবর্তীতে যোগাযোগ করেন।কিন্তু পরবর্তীতে তাকে ফোন দিলেও একই কথা বলেন সোহেল বিশ্বাস।
Leave a Reply